পজিটিভ প্যারেন্টিং
মা-বাবা হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে সন্তানের ভুলগুলি সুন্দরভাবে ধরিয়ে দেওয়া, বুঝিয়ে দেওয়া এবং তাকে উৎসাহ দেওয়া, উদ্বুদ্ধ করা যেন ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনের দিনগুলিতে সে ভালোভাবে চলতে পারে। এটাই হচ্ছে পজিটিভ প্যারেন্টিং।
সাধারণ প্যারেন্টিং:
আমরা অধিকাংশ মা-বাবাই সন্তানকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে রাখি। আমাদের ভূমিকাটা যেন অনেকটা বিচারকের মতো। আমরা সারাক্ষণ তার ভুল ধরছি, তার দোষ ধরছি। সারাক্ষণ তাকে নেতিবাচক কথা বলছি, বকাঝকা করছি, অভিমান করছি। অভিমান করে আবার কি করছি? সন্তানের সাথে আমার মাঝখানে একটা দেয়াল তুলে রাখছি। এবং এর ফলে সন্তানও যে আমার সাথে পাল্টা অভিমান করছে এবং হতে পারে উল্টা সে আরও এগ্রেসিভ (Aggressive) হয়ে যাচ্ছে, বেপরোয়া হয়ে যাচ্ছে— সেটা কিন্তু খেয়াল করি না। এবং সেটাকে অনেক সময় গুরুত্ব দেই না, পাত্তা দেই না।
এবং অহরহ আমরা কিন্তু সন্তানের সাথে নেতিবাচক কথা বলছি। তুই একটা অপদার্থ, নালায়েক, তোকে দিয়ে কিছু হবে না, তুই গোল্লায় গেছিস— ইত্যাদি ইত্যাদি তো আছেই। সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ব্যাপার যেটা, আমরা প্রায়শই করি কি, সন্তানকে অভিশাপ দিয়ে বসি। আমি লিখে রাখলাম— ‘তোকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না’। এই যে আমি যে অভিশাপটা দিয়ে ফেললাম, এটা ভাবি না যে মা-বাবা হিসেবে আমার এই অভিশাপটা কিন্তু সন্তানের গায়ে লেগে যেতে পারে। এ বিষয়ে আমরা অনেকেই সচেতনই না।
আবার যেসব প্যারেন্টস, মা-বাবা প্যারেন্টিং সম্পর্কে সচেতন, পজিটিভ প্যারেন্টিং-এর বিষয়ে সচেতন; দেখা যাচ্ছে যে তারাও কিন্তু সন্তানের সাথে এ ধরনের আচরণ করে থাকেন। যারা সচেতন না তারা না হয় ভুলক্রমে করেন, না বুঝে করেন। কিন্তু যারা সচেতন তারাও কিন্তু করে ফেলেন, অর্থাৎ তারা নিজেদেরকে কন্ট্রোল করতে পারেন না।
আমরা ভুলে যাই যে সন্তানকে যে এভাবে আমরা কথা বলছি, তারও যে একটা আত্মমর্যাদাবোধ আছে। এ ধরনের কথা শুনে তারও যে ইগো হার্ট (Ego hurt) হয়, মনে মনে ক্ষুব্ধ হয়, কষ্ট পায়, সেও যে অভিমান করে এবং এর ফলে কি হতে পারে? সে কিন্তু হীনম্মন্য যেমন হতে পারে, আবার এগ্রেসিভও হয়ে যেতে পারে।
পজিটিভ প্যারেন্টিং:
সন্তানকে নিয়ে সবসময় ভালো ভাবলে, ভালো বললে— আমরা যে পজিটিভ প্যারেন্টিং-এর দৃষ্টিকোণ থেকে তার আপাত ব্যর্থতাকেও যে সাফল্যে রূপদান করতে পারি, তার একটি চমকপ্রদ ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
একবার এক সন্তান, টিনেজার (Teenager) সন্তান। তার পরীক্ষার রেজাল্ট বেরুল, রেজাল্ট সে খারাপ করেছে, কয়েকটা সাবজেক্টে ফেইল করেছে। এখন রেজাল্ট নিয়ে যখন সে বের হয়েছে, বাইরে তার বাবা দাঁড়িয়ে আছে। সন্তানের চোখে তো টলটলে জল। সে বাবার সামনে এসে দাঁড়াল। বাবা যা বোঝার তা বুঝলেন। কিন্তু বাবা কি করলেন? কিচ্ছু বললেন না। তিনি সন্তানের হাতটা ধরলেন এবং ধীরে ধীরে নীরবে নিশ্চুপ হয়ে বাসার দিকে এগুতে লাগলেন।
তো বাসার কাছাকাছি এসে বাবা তার কাছে আগেই একটা চিরকুট লেখা ছিল, তিনি সচেতনভাবেই এই কাজটি করেছেন। সেই চিরকুটটি সন্তানের হাতে তুলে দিলেন যে— এখানে তোমার জন্য একটা মেসেজ আছে। তো তার সন্তান যখন বাসায় গেল, দুরু দুরু বক্ষে চিরকুটটা খুলল। না জানি বাবা তার জন্য কি লিখে রেখেছে! কিন্তু যখন সে চিরকুটটা খুলে পড়ল, সে ভীষণ বিস্মিত হলো, অভিভূত হলো এবং আবেগপ্রবণ হয়ে গেল। বাবা লিখেছেন— “আগামী পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্যে তোমাকে অগ্রিম অভিনন্দন।”
ছেলেটি এতটাই উদ্বুদ্ধ হয়েছে, অনুপ্রাণিত হয়েছে, উৎসাহিত হয়েছে, বাবার প্রতি কৃতজ্ঞ হয়েছে। তার একটা ভালোবাসা জাগ্রত হয়েছে বাবা-মায়ের প্রতি এবং তার একটা দায়িত্ববোধ জাগ্রত হয়েছে। না, আমাকে ভালো করতে হবে। মা-বাবা আমাকে ভালোবাসেন, তারা আমার কল্যাণ চান। সুতরাং আমিও ভালো করতে পারি, আমার ভালো করার মতো সামর্থ্য, সক্ষমতা আছে। এবং পরবর্তী সময়ে দেখা গেছে যে পড়াশোনার প্রতি তার আগ্রহ বেড়েছে, মনোযোগ বেড়েছে এবং নিয়মিত পড়াশোনা করে এবং বাবা-মায়ের গাইডেন্সের মাধ্যমে সে কিন্তু পরবর্তী সময়ে চমৎকার ফলাফল করতে পেরেছিল। এটা পজিটিভ প্যারেন্টিং-এর খুব চমৎকার একটি বাস্তব ঘটনা।
আমরা যদি ইতিহাসের দিকেও তাকাই, সেখানেও দেখব যারা চূড়ান্তভাবে সফল হয়েছেন, অর্থাৎ যাদের সাফল্য একেবারে দিগ্বিজয়ী সাফল্য; এরকম সফল মানুষের সাফল্যের নেপথ্যেও কিন্তু মা-বাবার এই পজিটিভ প্যারেন্টিং-এর ভূমিকাটা ছিল।
আমরা যেমন উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি- বৈদ্যুতিক বাতির আবিষ্কারক টমাস আলভা এডিসনের কথা। আমরা হয় তো অনেকেই ঘটনাটা জানি। টমাস আলভা এডিসন যখন ছোট ছিলেন, খুব ছোট ছিলেন— তার শৈশবের একটি ঘটনা। একদিন টমাস, ছোট্ট শিশু টমাস স্কুল থেকে ফিরে এল। তার কাছে একটা চিরকুট। চিরকুট অর্থাৎ একটা কাগজে স্কুল থেকে কিছু কথা লিখে দেয়া হয়েছে। তো চোখে তার টলটলে জল। শিশুটি বুঝতে পেরেছে কিছু একটা কথা নিশ্চয়ই আছে, সেটা তার জন্য ভালো নাও হতে পারে। সে এসে তার মায়ের কাছে এই চিরকুটটা দিল।
তো মা কি করলেন? চিরকুটটা খুলে পড়লেন। এভাবে পড়লেন। শিশু তো ওদিকে অধীর আগ্রহে জিজ্ঞেস করছে যে, “মা কি লেখা আছে? কি লিখেছে এখানে?” তো মা একটু হেসে বললেন, “এখানে লেখা আছে যে, টমাস খুব জিনিয়াস ছাত্র। তাকে পড়ানোর মতো সামর্থ্য এই স্কুলের শিক্ষকদের নেই। আপনি নিজেই টমাসের শিক্ষকতার দায়িত্ব নিন।”
এটা শুনে তো টমাস খুব অনুপ্রাণিত হলো। এবং মা কি করলেন এরপর থেকে লেগে থাকলেন। নিজেই তাকে পড়াতে শুরু করলেন। বেসিক যে বিষয়গুলি সেগুলি পড়ালেন এবং পরবর্তী সময়ে তার জন্য একজন শিক্ষক রেখে দিয়েছিলেন। এভাবে লেখাপড়া শিখে একটা পর্যায়ে টমাস যখন অনেক বড় হয়েছে, মা তখন পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন। এখন তো টমাস পৃথিবী জোড়া খ্যাতি তার এবং তিনি একজন বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী, বৈদ্যুতিক বাতির আবিষ্কারক টমাস আলভা এডিসন।
এই ব্যস্ততম সময়ের একটা দিন তিনি যখন কাগজপত্র ঘাটাঘাটি করছিলেন, তখন সেখান থেকে হঠাৎ ওই শৈশবের সেই চিরকুটটা তার চোখে পড়ল। কৌতুহলবশত তিনি কি করলেন? সেটা আবার নিয়ে খুলে পড়তে গেলেন। এবং যখন পড়তে গেলেন তার চোখ তো একেবারে বিস্ফোরিত! তিনি দেখলেন সেখানে লেখা আছে এরকম যে— “টমাস একেবারেই মানসিক প্রতিবন্ধী। তার দ্বারা কিচ্ছু হবে না। এই স্কুলে আমরা তাকে পড়াতে চাই না। মেহেরবানী করে আপনি টমাসের লেখাপড়ার দায়িত্ব নিন অথবা তাকে গ্রামে পাঠিয়ে দিন।”
তো টমাস যখন এটা পড়ল তখন সে একেবারেই আবেগপ্রবণ হয়ে গেল। তার চোখ দিয়ে ঝরঝর করে জল ঝরতে লাগল এবং মায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতায় তার মনটা ভরে উঠল। যে মা সেদিন এভাবে তাকে অনুপ্রাণিত, উৎসাহিত করেছিল বলেই আজকে সে টমাস আলভা এডিসন হতে পেরেছিল। তা না হলে তার জায়গা কোথায় হতো? গ্রামে অখ্যাতভাবেই জীবনটাকে তাকে পাড়ি দিতে হতো।
এই যে মা-বাবার ভূমিকা, প্যারেন্টিং-এ মা-বাবার যে অসাধারণ ভূমিকা এবং তার ফলে যে সন্তানদের সাফল্য— এরকম অসংখ্য ঘটনা আছে। আমরা আরও উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট, যিনি কিনা জানা বিশ্বের অধীশ্বর হতে পেরেছিলেন। আবার বারাক ওবামা, অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতি থাকা সত্ত্বেও, অর্থাৎ একজন মানুষ আমেরিকান, প্রেসিডেন্ট আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার ক্ষেত্রে যত ধরনের বাধা ছিল, সব ধরনের বাধাই তার ছিল। তারপরেও তিনি প্রেসিডেন্ট হতে পেরেছিলেন। আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট জানা পৃথিবীর অধীশ্বর হতে পেরেছিলেন। কেন? তাদের মায়ের ভূমিকা ছিল অসাধারণ। তারা বিশ্বাসী ছিলেন তাদের সন্তানদের ব্যাপারে এবং এই ইতিবাচক বিশ্বাসটা সন্তানদের মধ্যে সঞ্চালিত করতে পেরেছিলেন। তাদেরকে জীবনের সবচেয়ে বড় সাফল্য অর্জনের যে লক্ষ্য, সেই লক্ষ্যটা গেঁথে দিতে পেরেছিলেন তাদের মনে।
আসলে আমরাও পারি অভিভাবক হিসেবে, মা-বাবা হিসেবে যদি আমরা ইতিবাচক থাকি, আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিটাকে যদি ইতিবাচক রাখি, আমাদের সন্তানকে নিয়ে যদি ভালো ভাবি, সবসময় ভালো চিন্তা করি এবং সবসময় ভালো বলি, তার প্রশংসা করি, উদ্বুদ্ধ করি। ভুল হলে সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দেই। এই যে স্থির, সুন্দর মানসিকতা এবং প্রশান্ত চিত্ততা— এটা আমাদের থাকা প্রয়োজন। এবং সেটা থাকলেই কিন্তু সন্তানকে এভাবে ইতিবাচকভাবে আমরা উদ্বুদ্ধ করতে পারব।
আর এই ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিটাকে ধরে রাখা, সেলফ কন্ট্রোল অর্থাৎ রেগে না যাওয়া এবং মনটাকে স্থির, প্রশান্ত রেখে তাকে ইতিবাচকভাবে উদ্বুদ্ধ করা— এ সবই সম্ভব হবে যখন আমরা নিয়মিত মেডিটেশন করব। কারণ নিয়মিত মেডিটেশন করলে আমাদের কি হয়? ব্রেন ফ্রিকোয়েন্সিটা আলফা ওয়েভে (Alpha wave) থাকে। তো ব্রেন ফ্রিকোয়েন্সি যখন আলফা ওয়েভে থাকে তখন সহজ, স্বতঃস্ফূর্তভাবেই আমরা তখন কিন্তু ইতিবাচক থাকি। আমাদের ভেতরে একটা মমতার শক্তির জাগরণ ঘটে। আমরা খুব সহজেই সন্তানকে ইতিবাচকভাবে উদ্বুদ্ধ করতে পারি।
এবং সবসময় সন্তানকে নিয়ে ভালো ভাববেন, ভালো বলবেন। এবং ভালো ভাবা, ভালো বলার এই অনুপ্রেরণা আপনি কিন্তু নিতে পারেন আবার আরেকটি চমৎকার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে, সেটা হচ্ছে অটোসাজেশন (Autosuggestion)। চমৎকার একটি অটোসাজেশন আছে, আপনি নিয়মিত প্রতিদিন যদি ১০০ বার বলেন:
“ভালো ভাবব, ভালো বলব, ভালো করব, ভালো থাকব। ভালো ভাবব, ভালো বলব, ভালো করব, ভালো থাকব। ভালো ভাবব, ভালো বলব, ভালো করব, ভালো থাকব।”
দেখেন আপনি তিনবার শুনেছেন, আমি যদি আরও বেশ কয়েকবার বলতাম, আপনি এখনই কিন্তু একটা চমৎকার অনুরণন পেতেন। একটা ভালো লাগা, ভালো ভাবা এবং ইতিবাচক একটা অনুরণন কিন্তু আরও চমৎকারভাবে আপনি ফিল করতে পারতেন। তো যদি আপনি প্রতিদিন নিয়মিত ১০০ বার এটি আপনি চর্চা করেন এবং টানা ৪০ দিন চর্চা করেন, দেখবেন যে আপনি নিজেই নিজের ইতিবাচক পরিবর্তন দেখে বিস্মিত হবেন।
সন্তানকেও কিন্তু অটোসাজেশন শেখাতে হবে। এবং সবচেয়ে ভালো হয় রাতের বেলা যখন সন্তান ঘুমোতে যায়, তার ব্রেন ফ্রিকোয়েন্সি ন্যাচারালি অনেকটা আলফা ওয়েভে থাকে। তখন আপনি সন্তানের পাশে বসে, সে যখন ঘুমোতে যাচ্ছে, তার মাথায় একটু হাত বুলিয়ে দেন এবং তাকেও একটা চমৎকার অটোসাজেশন তার মনের মধ্যে গেঁথে দেন। তাকে বলতে পারেন—
“আমি বিশ্বাসী, আমি সাহসী, আমি পারি, আমি করব, আমার জীবন আমি গড়ব। আমি বিশ্বাসী, আমি সাহসী, আমি পারি, আমি করব, আমার জীবন আমি গড়ব।”
এবং তাকেও এই একই অটোসাজেশন যেটি আপনি চর্চা করছেন, সেটিও শেখাতে পারেন— “ভালো ভাবব, ভালো বলব, ভালো করব, ভালো থাকব।”
সবশেষে বলব যে, আমরা যেন কখনোই ভুলক্রমে, ভুলক্রমেও যেন সন্তানের সাথে অভিমান না করি, তাকে অভিশাপ না দেই, নেতিবাচক কথা না বলি। কথায় কথায় তার ভুল না ধরি, দোষ না ধরি। তাকে বিচারের কাঠগড়ায় যেন সারাক্ষণ দাঁড় করিয়ে না রাখি। তার পরিবর্তে তার প্রতি সমমর্মী হবো, তার সাফল্যের ব্যাপারে বিশ্বাসী হবো। তাকে উৎসাহ দিব, পিঠ চাপড়ে দিব। সে একটা ভালো কাজ করলে তার প্রশংসা করব। তার দিকে হাসিমুখে তাকিয়ে তার সাথে কথা বলব। চমৎকার একটা সান্নিধ্যের বন্ধন যেন তার সাথে আমরা গড়ে তুলতে পারি। তাহলেই কিন্তু সে একটা মানসিক পরিপুষ্টি পাবে, আত্মবিশ্বাসী হবে, সাহসী হবে, তার মনোবল বাড়বে এবং এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সে তার কাঙ্ক্ষিত সাফল্যের পথটাকে খুঁজে নিবে।
প্যারেন্টিং একটি শিল্প এবং এটি শেখার বিষয়। এই বিষয়ে আরও বিশদ জানতে ও নিজেদের সমৃদ্ধ করতে আপনারা নিচের বইগুলো পড়তে পারেন:
১. অটোসাজেশন – প্রকাশনা: কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন (মনকে ইতিবাচক রাখার ও প্রোগ্রাম করার জন্য একটি অত্যন্ত কার্যকরী বই)।
২. শুদ্ধাচার – শহীদ আল বোখারী মহাজাতক (পারিবারিক শিষ্টাচার ও সম্পর্কের উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য)।
৩. প্যারেন্টিং: সন্তান লালন-পালন – ডা. মোহিত কামাল (মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণের আলোকে লেখা)।
৪. হাউ টু টক সো কিডস উইল লিসেন অ্যান্ড লিসেন সো কিডস উইল টক (How to Talk So Kids Will Listen & Listen So Kids Will Talk) – আডেল ফেবার এবং এলাইন মাজলিশ (বিশ্ববিখ্যাত এই বইটির বাংলা অনুবাদও বাজারে লভ্য, যা যোগাযোগের দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে)।
৫. দ্য হোল-ব্রেন চাইল্ড (The Whole-Brain Child) – ড্যানিয়েল জে. সিগেল এবং টিনা পেইন ব্রায়সন (সন্তানের মস্তিষ্কের বিকাশ বোঝার জন্য সহায়ক)।
সন্তানকে নিয়ে সবসময় ভালো ভাবুন, ভালো বলুন। আপনার ইতিবাচক বিশ্বাসই আপনার সন্তানের সাফল্যের চাবিকাঠি।
No comments
Thank you, best of luck