header ads

বিশ্ব শিশু দিবস

সংকেত: সূচনা, শিশু দিবস কী, বিশ্ব শিশু দিবসের তাৎপর্য, শিশু অধিকার সনদ, শিশু অধিকার বাস্তবায়ন, শিশু অধিকার বাস্তবায়নে করণীয়, উপসংহার।

সূচনা: আজকে যারা শিশু আগামী দিনে তারাই জাতির কর্ণধার। তাই যথাযথ মর্যাদা ও সাহচর্য দিয়ে শিশুদের উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে হবে। এ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই প্রতিবছর সারা বিশ্বে পালিত হয়ে আসছে 'বিশ্ব শিশু দিবস'।

শিশু দিবস কী: জাতিসংঘ ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। প্রতিবছর অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার 'বিশ্ব শিশু দিবস' পালন করা হয়। এ দিবস পালনের তাৎপর্য হলো- শিশু-কিশোরদের সঠিকভাবে গড়ে তুলতে ও তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথনির্দেশ প্রদানে বিশ্ববাসীকে সচেতন করে তোলা।

বিশ্ব শিশু দিবসের তাৎপর্য: শিশুদের কল্যাণ সাধন এবং তাদের নানাবিধ সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান করে তাদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করাই হলো 'শিশু দিবস' পালনের প্রধান উদ্দেশ্য। শুধু কাগজে-কলমে শিশুদের অধিকারের কথা লিখে সুফল পাওয়া সম্ভব নয়। তাই এর বাস্তব রূপ দিতে এবং বিশ্ববাসীর কাছে গভীরভাবে অনুধাবন করতে 'বিশ্ব শিশু দিবসের' গুরুত্ব অপরিসীম।

শিশু অধিকার সনদ: 'বিশ্ব শিশু দিবস' প্রথম যখন উদ্যাপন শুরু হয় তখনকার একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হলো 'শিশু অধিকার সনদ' গ্রহণ। এটি ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দের ঘটনা। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ অনেক চিন্তাভাবনার পর শিশুর অধিকার সম্পর্কে ৭টি ধারা তৈরি করল। ৭ ধারা সংবলিত এ শিশু অধিকার সনদ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত হলো। এর প্রধান ধারাগুলোতে বলা হলো : শিশু যে দেশের এবং যে সমাজের বাসিন্দা হোক না কেন, তার জন্মের পর থেকেই সে পাবে পুষ্টিকর খাদ্য ও আশ্রয়। তার স্বাস্থ্য রক্ষা, শিক্ষাদানের ব্যবস্থা এবং তার জীবনের নিরাপত্তা বিধান করতে হবে। এগুলো তার জন্মগত অধিকার। এ অধিকার থেকে কোনো শিশুকে বঞ্চিত করা যাবে না।

শিশু অধিকার বাস্তবায়ন: জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদের এ ধারাগুলো সব রাষ্ট্রই মেনে নিয়েছে, কিন্তু বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলো আজও শিশু অধিকার সনদের এ মূল ধারাগুলো কার্যকর করতে পারছে না। আমাদের বাংলাদেশেও আমরা পারিনি শিশু-কিশোর প্রত্যেকের জন্য পুষ্টিকর খাদ্য, আশ্রয়, স্বাস্থ্য-রক্ষা, শিক্ষাদান ও জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে।

বাংলাদেশ এবং তার প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত, নেপাল, বার্মা, মালয়েশিয়া কোনো দেশেই শিশু অধিকার সনদ পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকা বা ল্যাটিন আমেরিকার দেশসমূহে।

শিশু অধিকার বাস্তবায়নে করণীয়: শিশুর অধিকার বাস্তবায়নে গোটা বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আজও ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের আক্রমণে অসংখ্য শিশু নিহত হচ্ছে, মায়ানমারে রোহিঙ্গা শিশুর ওপর মর্মান্তিক আক্রমণ- বিশ্ব বিবেককে নিরপেক্ষভাবে এর পরিসমাপ্তি ঘটাতে হবে। শিশু অধিকার বাস্তবায়ন করতে সকল প্রতিবন্ধকতা অপসারণ করতে হবে।

উপসংহার: প্রতিবছর 'বিশ্ব শিশু দিবস' স্মরণ করিয়ে দেয় শিশুদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। আসুন সকলে মিলে শিশুদের এক নিরাপদ বিশ্ব উপহার দেই।

No comments

Thank you, best of luck

Theme images by sbayram. Powered by Blogger.