বিরাম চিহ্নের সঠিক ব্যবহার।। দাঁড়ি চিহ্নের ব্যবহার।।
নাম : দাঁড়ি
চিহ্ন : (।)
বাক্যে অবস্থান : শেষে
বিরতিকাল : ১ (এক) সেকেন্ড কাল পরিমাণ ।
ফাঁক (space) : আগে ও পরে ফাঁক থাকবে । [*]
[* বিজয় ফন্ট দিয়ে লিখলে আংশিক ফাঁক এমনিতেই হয়ে যায়; কিন্তু অভ্র দিয়ে লিখলে একসাথে লেগে থাকে । সেক্ষেত্রে, পড়ার সময় বিভ্রান্তি ঘটতে পারে । তাই, অভ্র দিয়ে লেখার সময় ফাঁক দিতে হয়; বিজয় ফন্ট দিয়ে লেখার সময় ফাঁক দেওয়ার প্রয়োজন হয় না ।]
দাঁড়ি একটি যতিচিহ্ন যা বাক্যের সমাপ্তি বা পূর্ণ বিরতি বোঝানোর জন্য বাক্যের শেষে ব্যবহার করা হয়। দাঁড়ি বাংলা ভাষার মতো বিভিন্ন ব্রাহ্মী লিপিতে ব্যবহৃত হয়। বাক্যকে সুস্পষ্ট এবং অর্থ পরিপূর্ণভাবে বোঝানোর জন্য এটি ব্যবহৃত হয়।
ব্যবহারের নিয়ম:
১. বাক্যের সমাপ্তি বা পূর্ণ-বিরতি বুঝাতে দাঁড়ি বসে ।
যেমন : আমরা বাংলাদেশে বসবাস করি ।
২. সরাসরি প্রশ্ন বা সরাসরি বিস্ময় না বুঝিয়ে তা বিবৃতি আকারে প্রকাশিত হলে সেখানে দাঁড়ি বসে । যেমন : সে আসবে কি না তা আমি বলতে পারি না ।
আমি এখন কী করব তা বুঝতে পারছি না ।
উল্লেখ্য, আগেকার দিনে কবি-সাহিত্যিকগণ তাঁদের লেখাতে জোড়দাঁড়ি (।।) ব্যবহার করলেও বর্তমানে তার প্রচলন প্রায় নেই বললেই চলে ।
উদাহরণসহ ব্যবহার:
১. পূর্ণ বাক্যের শেষে
সম্পূর্ণ অর্থপূর্ণ একটি বাক্য শেষ হলে সেখানে দাঁড়ি বসে।
উদাহরণ:
সে স্কুলে যায়।
আকাশ মেঘলা ছিল।
২. নির্দেশ বা আদেশমূলক বাক্যের শেষে
নির্দেশ, আদেশ বা অনুরোধসূচক বাক্যের পর দাঁড়ি বসে।
উদাহরণ:
তুমি চুপ করে থাকো।
দয়া করে দরজাটি বন্ধ করো।
৩. অনুভূতির প্রকাশে ব্যবহৃত বাক্যের শেষে
আহা, বাহ্, উহ্, ইত্যাদি অনুভূতির শব্দ ব্যবহার করা হলে বাক্য শেষে দাঁড়ি দেওয়া হয়।
উদাহরণ:
আহা! কী সুন্দর ফুল।
বাহ্! দারুণ খেলেছো।
৪. কবিতার লাইনের শেষে (বিশেষত ছন্দময় কবিতায়)
উদাহরণ:
সোনার তরী ছেড়েছে ঘাট,
ভেসে চলে শত নদী পাড়।
৫. কোনো উদ্ধৃতি বা সংলাপ শেষ হলে
উদাহরণ:
বাবা বললেন, “তুমি পড়তে বসো।”
সূত্র :
১. জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক প্রকাশিত ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম-১০ম শ্রেণির ব্যাকরণ বই ।
২. জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের 'সরকারি কাজে প্রমিত বাংলা ব্যবহারের নিয়ম' ।
৩. ড. হায়াৎ মামুদের 'বাংলা লেখার নিয়মকানুন' ।
No comments
Thank you, best of luck