পঞ্চম শ্রেণি, বাংলা (কবিতা), শব্দ দূষণ, সুকুমার বড়ুয়া, [বৃত্তি পরীক্ষার জন্য]
নিশিরাত, কিচির মিচির, ফেরিঅলা, শব্দদূষণ।
উত্তর:
নিশিরাত-গভীর রাত।
কিচির মিচির-পাখির ডাকাডাকির আওয়াজ।
ফেরিঅলা-রাস্তায় বা বাড়িতে বাড়িতে ঘুরে ঘুরে যারা জিনিসপত্র বিক্রি করেন।
শব্দদূষণ-অত্যন্ত কোলাহল বা নানা রকম শব্দের মিশ্রণ।
২. ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি। (খাতায় সম্পূর্ণ বাক্য তুলবে)
ফেরিঅলা, নিশিরাত, শব্দদূষণ, কিচির মিচির,
ক. --- চেঁচামেচি করো না, সবাই ঘুমুচ্ছে। উত্তর: নিশিরাত
খ. ভোর বেলাতেই পাখির --- শুনতে শুনতে আমার ঘুম ভাঙে। উত্তর:কিচির মিচির
গ. --- হাঁক দিচ্ছে থালাবাসন-চাই উত্তর:ফেরিঅলা।
ঘ. --- আমাদের শোনার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।উত্তর:শব্দদূষণ
৩. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো।
ক. কবিতায় কোন কোন পশু ও পাখির কথা বলা হয়েছে?
উত্তর:‘শব্দদূষণ’ কবিতায় নানা পশু ও পাখির কথা বলা হয়েছে। সেগুলো নিচে দেওয়া হলো:
পশুর নাম:গরু, কুকুর।
পাখির নাম : হাঁস, কবুতর, মোরগ, দোয়েল, চড়–ই, ঘুঘু, টুনটুনি, পাতি কাক।
খ. শহরে কী কারণে শব্দদূষণ হয়?
উত্তর:শহরে নানা কারণে শব্দদূষণ ঘটে। যেমন- ঝাঁকে ঝাঁকে পাতি কাকের উচ্চ স্বরের ডাক, গাড়ির হর্নের শব্দ, সিডি, টিভি, টেলিফোন, দরজার বেল, ফেরিঅলার ডাকের শব্দ, বিদ্যালয়ের মাঠে ছোটদের হইচই ইত্যাদি।
গ. কুকুরের ডাক আর পাখির ডাকের মধ্যে কোনটি তোমার ভালো লাগে? কেন?
উত্তর:কুকুরের ডাক আর পাখির ডাকের মধ্যে পাখির ডাক আমার ভালো লাগে।
ভালো লাগার কারণ:কুকুর খুব জোরে চিৎকার করে ডাকে, যা শুনে আমার ভয় ও বিরক্তি লাগে। কিন্তু পাখি গাছের ডালে বসে মনের সুখে কিচিরমিচির শব্দ করে। এ শব্দ শুনে ভয় না লেগে আনন্দ পাওয়া যায়। তাছাড়া পাখির ডাক কানে শুনতেও ভালো লাগে, শব্দদূষণও ঘটায় না। পাখির ডাকে এক ধরনের সুর থাকে যা আমার মনে আনন্দ এনে দেয়। এসব কারণে পাখির ডাক আমার ভালো লাগে।
ঘ. গ্রামের মানুষ কোন পাখির ডাক শুনে ঘুম থেকে ওঠেন?
উত্তর:গ্রামে দিনের বেলা প্রায় সময়ই নানান পাখির ডাকের শব্দ শোনা যায়। এগুলোর মধ্যে মোরগ, হাঁস, কবুতর, দোয়েল, চড়–ই, ঘুঘু, টুনটুনি অন্যতম। তবে গ্রামের মানুষ বিশেষ করে মোরগের ডাক শুনে ঘুম থেকে ওঠেন।
***নিচের কবিতাংশটি পড়ে ১ ও ২ নং প্রশ্নের উত্তর লেখো। পাঠ্যবই থেকে) ***
গরু ডাকে হাঁস ডাকে-ডাকে কবুতর
গাছে ডাকে শত পাখি সারা দিনভর।
মোরগের ডাক শুনি প্রতিদিন ভোরে
নিশিরাতে কুকুরের দল ডাকে জোরে।
দোয়েল চড়–ই মিলে কিচির মিচির
গান শুনি ঘুঘু আর টুনটুনিটির।
১. নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখো :
শত, দিনভর, সারা, ভোরে, ডাকে, নিশি, শুনি। '
উত্তর:
শব্দ অর্থ
শত একশ
দিনভর সারা দিন
সারা সমস্ত
ভোরে সকাল বেলায়
ডাকে শব্দ করে আহ্বান করা
নিশি রাত, রজনী
শুনি শ্রবণ করি
নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো:
ক. সারা দিনভর কারা ডাকে? দুটি বাক্যে লেখো।
উত্তর:সারা দিনভর বিভিন্ন পশু-পাখি ডাকে। এ বিষয়ে দুটি বাক্য হলো-
i. সারা দিন আমরা বিভিন্ন পশু, পাখি ও জীবজন্তুর ডাক শুনি।
ii. এ ছাড়াও গাছে গাছে সারা দিনভর পাখি ডাকে।
খ. মোরগের ডাকের সঙ্গে গ্রামের মানুষের স¤পর্ক কী? চারটি বাক্যে লেখো।
উত্তর:মোরগ গৃহপালিত প্রাণি। গ্রামের প্রায় সকল বাড়িতে মোরগ পাওয়া যায়। মোরগ গ্রামের মানুষকে ঘুম থেকে উঠতে সাহায্য করে। মোরগের ডাকের সঙ্গে গ্রামের মানুষের স¤পর্ক চারটি বাক্যে নিচে দেয়া হলো-
i. গ্রামে সারা দিনভর বিভিন্ন প্রাণী ও পশু-পাখির ডাক শোনা যায়।
ii. সকাল বেলা মোরগের ডাক শোনা যায়।
iii. সকাল বেলা মোরগের ডাক শুনে গ্রামের মানুষের ঘুম ভাঙে।
iv. মোরগের ডাকের সাথে গ্রামের মানুষের দিন শুরু হওয়ার স¤পর্ক রয়েছে।
v. দিনের বেলা গ্রামে কীসের ডাক শোনা যায়? উদাহরণ দাও।
উত্তর:দিনের বেলা গ্রামে বিচিত্র শব্দ শোনা যায়। দিনের বেলা গ্রামে যে সব পশুপাখির ডাক শোনা যায় তা বর্ণনা করা হলো-
i. দিনের বেলা গ্রামে নানা প্রাণী ও পশু-পাখির ডাক শোনা যায়।
ii. সকালে মোরগ ডাকে।
iii. সারা দিন গরু, হাঁস ও কবুতর ডাকে।
iv. এ ছাড়াও দিনের বেলা দোয়েল, চড়–ই, ঘুঘু, টুনটুনির মিষ্টি ডাক শোনা যায়।
***নিচের কবিতাংশটি পড়ে ১ ও ২ নং প্রশ্নের উত্তর লেখো। (পাঠ্যবই থেকে) ***
শহরের পাতি কাক ডাকে ঝাঁকে ঝাঁকে
ঘুম দেয়া মুশকিল হর্নের হাঁকে।
সিডি চলে, টিভি চলে, বাজে টেলিফোন
দরজায় বেল বাজে, কান পেতে শোন।
গলিপথে ফেরিঅলা হাঁকে আর হাঁটে।
ছোটদের হইচই ইশকুল মাঠে।
১. নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখো :
পাতি, মুশকিল, হর্ন, বেল, গলিপথ, ফেরিঅলা, ইশকুল।
উত্তর:
শব্দ অর্থ
পাতি ছোট
মুশকিল অসুবিধা
হর্ন গাড়ির হুইসেল
বেল ঘণ্টা
গলিপথ মূল পথের পার্শ্ববর্তী ছোট পথ
ফেরিঅলা- যারা রাস্তায় বা বাড়িতে বাড়িতে ঘুরে ঘুরে জিনিসপত্র বিক্রি করেন।
ইশকুল বিদ্যালয়, পাঠশালা।
২. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো:
ক. শহরে কী কাক ডাকে? দরজায় কী বাজে?
উত্তর: শহরে পাতি কাক ডাকে ও দরজায় বেল বাজে।
খ. অনুচ্ছেদে কোথাকার কথা বলা হয়েছে? সেখানে ঘুম মুশকিল কেন? তিনটি বাক্যে লেখো।
উত্তর:অনুচ্ছেদে শহরের কথা বলা হয়েছে।
শহরে বিভিন্ন শব্দের কারণে বেশির ভাগ মানুষ অশান্তিতে থাকে। এর মধ্যে নির্বিঘেœ ঘুমাতে পারে না। শহরে শান্তিতে ঘুমানো মুশকিলের কারণ হলো-
i. শহরে ঝাঁকে ঝাঁকে পাতি কাক ডাকে।
ii. তাছাড়া গাড়ির হর্নের শব্দ জোরে জোরে বাজে।
iii. এছাড়া সিডি, টিভি, টেলিফোন ও দরজায় বেল বাজার শব্দ।
গ. গলিপথে ফেরিঅলা হাঁকেন কেন? চারটি বাক্যে লেখো।
উত্তর:শহরের অধিকাংশ মানুষ খুবই ব্যস্ত, এ সুযোগে ফেরিওয়ালারা বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসসহ নানা দ্রব্য ফেরি করে বিক্রয় করে। গলিপথে ফেরিঅলা যে কারণে হাঁকেন তা চারটি বাক্যে লেখা হলো-
i. শহরে ফেরিঅলারা সব রকম জিনিস বিক্রয় করেন।
ii. জিনিসপত্র বিক্রয় করার জন্য ফেরিঅলা জোরে জোরে হাঁক ছাড়েন।
iii. এতে রাস্তার পাশের বসতবাড়ির মানুষ বুঝতে পারে।
iv. ফেরিঅলার হাঁক শুনতে পেয়ে বাড়ির মানুষ বাইরে বের হয় এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করে।
No comments
Thank you, best of luck