বিরাম চিহ্নের সঠিক ব্যবহার হস্ চিহ্নের ব্যবহার

হস-চিহ্ন (্)'-এর ব্যবহার নিয়ে আর কোনো সংশয় নয়; নিতান্ত ঠ্যাকায় না পড়লে 'হস-চিহ্ন (্)' যথাসম্ভব বর্জন করতে হবে ।
তবে, অর্থবিভ্রান্তি বা ভুল উচ্চারণের আশঙ্কা থাকলে 'হস-চিহ্ন (্)' ব্যবহার করা যেতে পারে । 

যেমন : উহ্, বাহ্, যাহ্ ।

# স্মার্টফোনে অভ্র দিয়ে 'হস্-চিহ্ন (্)' দেওয়ার জন্য বর্ণটি লেখার পর ohs অথবা hs লিখুন ।
বাহ্ (bahohs)
উহ্ (uhohs)
যাহ্ (zahohs)

সূত্র : বাংলা একাডেমির 'প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম' ।

হস-চিহ্ন (্)'-এর ব্যবহার নিয়ে আর কোনো সংশয় নয় 

নিতান্ত ঠ্যাকায় না পড়লে 'হস-চিহ্ন (্)' যথাসম্ভব বর্জন করতে হবে । 

তবে, অর্থবিভ্রান্তি বা ভুল উচ্চারণের আশঙ্কা থাকলে 'হস-চিহ্ন (্)' ব্যবহার করা যেতে পারে । যেমন : উহ্, বাহ্, যাহ্ ।

* স্মার্টফোনে অভ্র দিয়ে 'হস্-চিহ্ন (্)' দেওয়ার জন্য বর্ণটি লেখার পর ohs অথবা hs লিখুন । 

বাহ্ (bahohs)

উহ্ (uhohs)

যাহ্ (zahohs)

সূত্র : বাংলা একাডেমির 'প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম' ।

হসন্ত চিহ্ন (্) হলো একটি বিশেষ ধ্বনি নির্দেশক চিহ্ন যা বাংলা বর্ণমালায় ব্যবহৃত হয়। এটি কোনো ব্যঞ্জনবর্ণের সাথে যুক্ত হলে, সেই ব্যঞ্জনবর্ণের অন্তর্নিহিত স্বরবর্ণকে বাদ দিতে ব্যবহার করা হয়, ফলে ব্যঞ্জনবর্ণটি একা বা অন্য ব্যঞ্জনবর্ণের সাথে যুক্ত হয়ে যুক্তাক্ষর গঠন করতে পারে।

হসন্ত চিহ্নের ব্যবহার:

স্বরবর্ণকে বাদ দেওয়া:

হসন্ত ব্যবহার করে কোনো ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে স্বরবর্ণের সম্পর্ক ছিন্ন করা যায়।

যেমন: 'ক' এর সাথে হসন্ত যুক্ত করলে 'ক্' (ক্) হয়ে যায়, যা স্বরবর্ণ 'অ' (অ) ছাড়া উচ্চারিত হয় না।

যুক্তাক্ষর গঠন:

হসন্ত ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে অন্য ব্যঞ্জনবর্ণ যুক্ত করে যুক্তাক্ষর গঠন করতে সাহায্য করে।

যেমন: 'কল' (কল) শব্দটিতে 'ক' এবং 'ল' এর মাঝে হসন্ত ব্যবহার করে 'ক্ল' (ক্ল) যুক্তাক্ষর তৈরি করা হয়েছে।

শব্দ বিভাজন:

হসন্ত শব্দের অংশ বিভাজন করতে সাহায্য করে।

যেমন: 'বং' (বং) শব্দটিতে হসন্ত ব্যবহার করে 'বং' এবং 'গ' কে আলাদা করে দেখানো হয়েছে।

সঠিক উচ্চারণ:

হসন্ত ব্যবহার করে শব্দের সঠিক উচ্চারণ নিশ্চিত করা যায়।

যেমন: 'দিক্' (দিক্) শব্দটিতে হসন্ত ব্যবহার করে 'ক' ব্যঞ্জনবর্ণের স্বরবর্ণকে বাদ দিয়ে সঠিক উচ্চারণ নিশ্চিত করা হয়েছে।