header ads

বিরামচিহ্ন ব্যবহারের সঠিক নিয়ম-কানুন।। কমা ব্যবহারের নিয়ম।।

নাম : কমা
চিহ্ন : (,)
বাক্যে অবস্থান : মধ্যে
বিরতিকাল : ১ (এক) বলতে যতটুকু সময় লাগে ।
ফাঁক (space) : আগে ফাঁক থাকবে না, তবে পরে ফাঁক থাকবে ।
কমা হলো একটি বিরাম চিহ্ন যা বাক্যের মধ্যে শব্দ বা শব্দগুচ্ছকে আলাদা করতে ব্যবহৃত হয়, যা বাক্যটিকে আরও সুস্পষ্ট করে তোলে। কমা বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়, যেমন- 

ব্যবহারের নিয়ম :
১. বাক্যের অর্থ স্পষ্ট করার জন্য কমা বসে । যেমন : সুখ চাও, সুখ পাবে পরিশ্রমে । কারণ, জানা গিয়াছে যে, যত বয়সই হোক, জীবিতদের মধ্যে জন্মে কেউ কখনও এমন গরম নাকি দেখেননি ।
২. সমজাতীয় একাধিক পদ পরপর থাকলে কমা বসে । যেমন : পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র আমাদের বড়ো নদী । পরিত্যক্ত বাড়িতে ইঁদুর, তেলাপোকা, চামচিকা, উইপোকা ইত্যাদির উৎপাত বেড়ে গেছে ।
৩. সম্বোধন পদের পরে কমা বসে । যেমন : রনি, পড়তে বসো । হেনা, এদিকে এসো ।
৪. উদ্ধৃতিচিহ্নের আগে কমা বসে । যেমন : মা বললেন, “অঙ্ক করতে বসো ।” তিনি বললেন, “আমি বাড়ি যাব না ।”
৫. একজাতীয় একাধিক বাক্য বা বাক্যাংশ পাশাপাশি ব্যবহৃত হলে কমা বসে । যেমন : সজল শ্রেণিকক্ষে ঢুকল, বই রাখল, তারপর বেরিয়ে গেল ।
৬. অন্যথাসূচক অব্যয় যদি বাক্যে ব্যবহৃত হয়—তাহলে ঐ অব্যয়ের পূর্বে কমা বসে । যেমন : কাল অফিসে যেও, নইলে তোমার চাকরি থাকবে না ।
৭. অনেক অঙ্ক পরপর বসিয়ে সংখ্যা প্রকাশের ক্ষেত্রে কমা বসে । যেমন : ১,৪৭,৫৭০ । [এক্ষেত্রে আগে ও পরে ফাঁক থাকবে না ।]
৮. তারিখ লেখার সময় অনেক সময় কমা বসে । যেমন : ৮ মাঘ, বুধবার, ১৩৭৫ সাল ।
৯. বাড়ি বা রাস্তার নম্বরের পরে কমা বসে । যেমন : ৯, ইকবাল রোড, ঢাকা ।
১০. নামের পরে ডিগ্রিসূচক পরিচয় সংযোজিত হলে কমা বসে । যেমন : ড. ছিদ্দিকুর রহমান, এম.এ., এম.এড. ।


No comments

Thank you, best of luck

Theme images by sbayram. Powered by Blogger.