Friday, 22 November 2024

পঞ্চম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষা ফিরছে, বার্ষিকে মূল্যায়ন ৪ স্তরে


 

আওয়ামী লীগ সরকারের বাতিল করা পঞ্চম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষা, ২০২৬ সাল থেকে আবার শুরু হচ্ছে। আর চলতি বছর থেকেই বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হবে প্রাথমিক পর্যায়ে। আগামী ২ ডিসেম্বর থেকে এ পরীক্ষা নিতে প্রস্তুত স্কুলগুলো। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বার্ষিক পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন হবে ৪ স্তরে।

চলতি বছর প্রাথমিক পর্যায়ে প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত নতুন শিক্ষাক্রমে পাঠদান শুরু হয়। তবে, গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর, এই শিক্ষাক্রম বাতিল করে দেওয়া হয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, এ অবস্থায় শ্রেণিভিত্তিক মূল্যায়নের পাশাপাশি বার্ষিক পরীক্ষাও হবে। ফলাফলে থাকবে ৪টি স্তর। এর মধ্যে ৩৯ নম্বর পর্যন্ত ‘সহায়তা প্রয়োজন’ স্তর; ৪০ থেকে ৫৯ পর্যন্ত সন্তোষজনক; ৬০ থেকে ৭৯ পর্যন্ত উত্তম এবং ৮০ থেকে ১০০ নম্বর পর্যন্ত অতি উত্তম স্তর। এদিকে আগের শিক্ষাক্রমের ভিত্তিতে ২০২৬ সালে পঞ্চম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষা হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, ‘প্রয়োজনীয় পরিমার্জন সাপেক্ষে আমরা ২০১০ এবং ১১ এর জাতীয় শিক্ষা কার্যক্রমে ফিয়ে যাচ্ছি, সে জন্য এটির সাথে মিল রেখে আমরা প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য আমাদের প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এই বছর আমরা এটি কার্যকর করব না, কারণ আমাদের চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির পাণ্ডুলিপি আরও পরিমার্জন হবে।’

শিক্ষকেরা জানিয়েছেন, এরই মধ্যে বার্ষিক পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সিলেবাসও শেষ পর্যায়ে।

নীলক্ষেত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শবনম শিউলী কেয়া বলেন, ‘এ বিষয়ে নির্দেশনা আমাদের এরই মধ্যে চলেই এসেছে। ২ তারিখ থেকে এইটার পরীক্ষাটা শুরু হবে। সেকেন্ড টার্ম থেকে আমরা প্রস্তুত ছিলাম।’

বিগত সরকারের মতো বারবার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না কোরে, যথাযথ গবেষণার তাগিদ দিচ্ছেন শিক্ষা গবেষকেরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মজিবুর রহমান বলেন, ‘প্রতিযোগিতাগুলো যেভাবে অর্জন করার কথা ছিল সেগুলো তারা অধিকাংশ ক্ষেত্রে করছে না। এইটা যেমন সংখ্যার দিক থেকে, তেমনিভাবে শিক্ষার্থী আপনি যদি ভাবেন গ্রাম, শহর বিভিন্ন ক্ষেত্রে কিন্তু এগুলোর ঘাটতি রয়ে গেছে। এই গ্যাপ বা ঘাটতিটা পূরণ করা এখন মূল লক্ষ্য।’

এদিকে ২০২৬ সালের জন্য প্রাথমিকের শিক্ষাক্রমে পরিবর্তন আনার কাজ শিগগির শুরু হবে বলেও জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

No comments:

Post a Comment

Thank you, best of luck